রামু দক্ষিণ মিঠাছড়িতে ফরিদ মেম্বারের নেতৃত্বে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

বাঁকখালী নদী থেকে বালু উত্তোনর করে স্তুপ করা হয় সড়কের পাশে,সেখান থেকে মিনি ট্রাকে (পিকআপ) করে নেয় হয় নানা স্থানে।

সাইফুল ইসলাম,কক্সবাজার জার্নাল

রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের উমখালী এলাকায় বাঁকখালী নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। এভাবে প্রকাশ্যে দিনে-রাতে অবৈধভাবে ড্রেজার মিশন দিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগ দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ফরিদের বিরুদ্ধে। এছাড়াও তাঁর নেতৃত্বে বিভিন্ন খাল, নদী ও ছরা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে একদিকে সরকার যেমন রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে ঝুঁকির মুখে পড়ছে পরিবেশ ও হাজারো পরিবার।

সরজমিনে দেখা যায়, ১০ থেকে ১২ জন লোক দিয়ে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু তুলে সড়কের পাশে মজুত করে। পরবর্তীতে ডাম্পার ও ট্রাক বোঝাই করে এই বালু অন্যত্র সরবরাহ করা হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই এলাকায় মেম্বার মো. ফরিদের নেতৃত্বে বাঁকখালী নদীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোনের কয়েকটি সিন্ডিকেট রয়েছে। দীর্ঘদিন দিন ধরে মো. ফরিদ এই ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এই ড্রেজার মেশিন দিয়েই নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করে রাত-দিন বালু অন্যত্র পাচারও করা হচ্ছে। আবার ভারী যানবাহন দিয়ে বালু নিয়ে যাওয়ায় ঐ কাঁচা সড়কটির স্থায়ীত্ব নষ্ট হওয়া ছাড়াও চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। কিন্তু প্রশাসন রহস্যজনক কারণে তাঁর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

তাদের কারনে চলতি বর্ষা মৌসুমে যে কোন সময় পাড় ধ্বসে পড়ে শতশত মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ার পাশাপাশি প্রাণহানীসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। অবৈধভাবে ড্রেজিংয়ের সাহায্যে বালি উত্তোলণ ইতিমধ্যে বন্ধের পদক্ষেপ নেয়ার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসি।
এ বিষয়ে মেম্বার মো.ফরিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি একা নই। অনেকেই এভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে বলে ফোন কেটে দেন।

এ ব্যাপারে দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ ভুট্টো জানান, ফরিদ বালুর ব্যবসা করে এটা ঠিক। তবে ড্রেজার মেশিন তাঁর নই। একই এলাকার ছৈয়দ করিমের বলে জানান তিনি।
রামু উপজেলার নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) লুৎফুর রহমান জানান, বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।